সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে, মোহাঃ মাইনুল ইসলাম লাল্ট, কালের খবর : শিবগঞ্জের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচালনা কমিটি গঠনে ডিগ্রীর পাশের জাল সনদ ব্যবহার করে কমিটির সভাপতি হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।তাছাড় আরো অনেক অনিয়মে রয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি শিবগঞ্জ উপজলার পাঁকা ইউনিয়নের চরপাকা কদমতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। শুধু তাই নয়ম এ বিদ্যালয়ে সামনে দপ্তরি পদে নিয়োগ নিয়ে এখন থেকে চলছে লবিং-গ্রুপিং। তাছাড়া সভাপতি নিজেই প্রধান শিক্ষকের বদলে ক্লাশ নিয়ে শর্ত সাপেক্ষে।
এলাকাবাসী ও কয়েকটি সুত্রে জানা গেছে ২৩৩ নং কদমতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি চর পাঁকা গ্রামে মৃত সাজেমান আলির ছেলে দুরুল এসএসসি পাশ হলেও ডিগ্রী পাশের জাল সনদ দিয়ে স্থানীয় সংসদের সুপারিশ নিযে সভাপতি পদে মনোনীত হয়েছেন। সভাপতি পদে তাকে মনোনীত করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌহিদুর রহমান ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার যোগসাজজ থাকায় গত নভেম্বর মাসে কমিটির তালিকা শিক্ষা অফিসার বরাবর জমা দিলেও আজ অবধি অনুমোদিত হয়নি।আর নিয়ম অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে কমিটি অনুমোদিত না হলে পরে সাধারণভাবেই অনুমোদিত হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। আর এটি করা হয়েছে দুরুলকে সভাপতি করার জন্যই।দুরুল অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় ও তার স্ত্রী মোসা: হেনা বেগম একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হওয়ায় এলাকার মানুষ কেউ মুখ খুলছে না।অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক তৌহিদুর রহমান বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন শিবগঞ্জে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান তৌহিদুর রহমান সপ্তাহে দুইদিন বিদ্যালয়ে যান আর বাকী চারদিন দুরুল তার বদলে ক্লাস নেন। এব্যাপারে সভাপতি দুরুলের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি প্রথমত: ডিগ্রী পাশের জাল সনদের কথা অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে বলেন আমি প্রধান শিক্ষক তৌহিদুর রহমানকে বলেছি আমি এ পদে থাকবো না।তারপর কিভাবে আছি তা জানি না।অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক তৌহিদুর রহমান বলেন,ডিগ্রী পাশ সনদ জাল কি সঠিক তা যাচাই বাছাই করবের উপজেলা শিক্ষা অফিসারের । আমি শুধু কাগজপত্র শিক্ষা অফিসে জমা দেয়ার মালিক। তিনি আরো বলেন গত নভেম্বর মাসে কাগজপত্র সহ কমিটির তালিকা জমা দিয়েছি। যেহেতু এ পর্যন্ত অনুমোদন হয়নি, সেহেতু ধরে নিব সাধারণভাবে কমিটি অনুমোদিত হয়ে গেছে।অন্যান্য অভিযোগগুলি তিনি স্বীকার করেন।উপজেলা শিক্ষা অফিসার পরিমল কুমার সরকার বলেন, কমিটি অনুমোদিত হয়েছে কি না তা দেখে বলতে পারবো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যদি কমিটির তালিকা জমা দেয়ার পর তিন মাস পার হয়ে গেলে তা সাধারণ ভাবে অনুমোদিত বলে বিবেচিত হবে। সভাপতির ডিগ্রী পাশ সনদ জাল কি না তা খতিয়ে দেখবে প্রধান শিক্ষক। এটি আমার দায়িত্ব নয়। তবে যদি ২৩৩নং কদমতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি দুরুলের ডিগ্রী পাশ সনদ জাল হয়ে থাকে থাকে তবে তাকে সভাপতির পদ থেকে বাতিল করা হবে এবং জাল সনদ জমা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আইননুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবেআগামীকাল (বুধবার) তার কাগজপত্র যাচাইবাছাই করে দেখা হবে।তার বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগগুলি অস্বীকার করেন। এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে ওই বিদ্যালয়ের সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা; সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল বলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কোন ডিও লেটার দেয়া হয় না। শুধু দুই জন অভিভাবক সদস্য মনোনীত করা হয়।সভাপতির ডিগ্রী পাশ সনদ জাল তার বিরুদ্ধে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।